স্বদেশ ডেস্ক:
রাত পোহালেই পশ্চিমবঙ্গের ভবানিপুরে উপনির্বাচন। সাধারণত রাজ্যের কোনো উপনির্বাচন নিয়ে তেমন কারও মাথাব্যথা থাকে না। কিন্তু এ নির্বাচনের দিকে অনেকেরই চোখ রয়েছে। শাসক দল তৃণমূল শিবিরে বেশ সাজসাজ রব। কেননা এ নির্বাচনের ফলের ওপর নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা। একমাত্র জয় নিশ্চিত হলেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রক্ষা হবে। আজ ভোট হলেও ফল জানা যাবে ৩ অক্টোবর।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মমতাকে জয়ী করতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা রাতদিন এক করে কাজ করছেন। নির্বাচনের দিন কোন নেতা কী দায়িত্ব পালন করবেন সেটিও আগেভাগেই ঠিক করা হয়েছে। যেসব নেতা ভবানিপুরের নয়, তারাও নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
এ উপনির্বাচনে ভবানিপুরে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়ালকে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বড় কোনো অঘটন না ঘটলে মমতার জয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তৃণমূল শিবির কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। নির্বাচনের দিন ধার্য হওয়ার পর থেকেই কর্মীরা রাতদিন এক করে কাজ করে চলেছেন। চলতি সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জনসভা করে ভোট চেয়েছেন। তার কথায়, আমাকে ভোট দিন, আমাকে ভোট না দিলে আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারব না, অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
চলতি বছর বিধানসভায় হাইভোল্টেজ আসন ছিল নন্দীগ্রাম। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন মমতা। অল্প ভোটের ব্যবধানে মমতা হেরে যান। কিন্তু টানটান উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর পদ রক্ষা করতে হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাকে কোনো উপনির্বাচনে জয়ী হতে হবে। এবার ভবানিপুর থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেতা শোভনদেব চৌধুরী। তিনি পদত্যাগ করার পরই পরিষ্কার হয়েছিল এই আসন থেকে লড়বেন মমতা। এ ভবানিপুর থেকেই ২০১১ ও ২০১৬ সালে নির্বাচনে মমতা জয়ী হয়েছেন।
সম্প্রতি জনমত জরিপে দেখা গেছে, বিধানসভায় তৃণমূলের জয়ের পর মমতার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এ বছর টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বে প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যেও মমতার নাম রয়েছে। টাইম বলেছে, মমতা শুধু একজন নেতা নন, তিনি নিজেই একটি দল।